মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৯ অপরাহ্ন

ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে ফাটল: যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী চক্র

ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে ফাটল: যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী চক্র

‘গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার’ অভিযোগে বাংলাদেশের বিশেষ পুলিশ র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর ছয়জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু খোদ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই মানবাধীকার সবচাইতে বড় অভিযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে প্রতি বছর শত শত নারী ও পুরুষ পুলিশের হাতে নিহত হয়। কেউ জানে না ঠিক কতজন কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কতজন প্রাণ হারিয়েছে তা গণনা করে না। সীমিত তথ্য মত, আফ্রিকান আমেরিকান পুরুষরা পুলিশি প্রাণঘাতী বল প্রয়োগের দ্বারা অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত হয়। যখন পুলিশ অফিসারদের হাতে নিহত নিরস্ত্র আফ্রিকান আমেরিকানদের বেশিরভাগই পুরুষ, অনেক আফ্রিকান আমেরিকান মহিলা। এছাড়াও পুলিশি সহিংসতায় প্রাণ হারান পুলিশ কর্মকর্তারা আইন সমুন্নত রাখার পাশাপাশি সম্মান করার জন্য দায়ী সমাজের সকল সদস্যের জীবন রক্ষা করা। তাদের কাজ কঠিন এবং প্রায়ই বিপজ্জনক। তবে এর শুটিং ফার্গুসন, মিসৌরিতে মাইকেল ব্রাউন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে অগণিত অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের দ্বারা জাতিগত বৈষম্যমূলক আচরণ এবং দেশব্যাপী প্রাণঘাতী শক্তির একটি উদ্বেগজনক ব্যবহারের একটি বিস্তৃত প্যাটার্ন হাইলাইট করেছেন।

প্রকৃতপক্ষে, ৯ আগস্ট ২০১৪-এ মিসৌরির ফার্গুসনে মাইকেল ব্রাউনকে মারাত্মকভাবে গুলি করার মাত্র ১০ দিন পর, সেন্ট লুইস পুলিশ অফিসাররা একজন কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে যার নাম ছিল ২৫ বছরের কাজীমে পাওয়েল। যার কাছে ছুরি ছিল বলে দাবি ছিল পুলিশের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে নিহতদের মধ্যে রয়েছে রেকিয়া বয়েড একজন নিরস্ত্র ২২ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা। ২১শে মার্চ ২০১২-এ শিকাগো পুলিশ অফিসার কর্তৃক গুলি ও নিহত হন এরিক গার্নার। নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের অফিসারদের দ্বারা একটি শ্বাসরোধে রাখা হয়েছিল একজন অফিসারের কাছে যা করার চেষ্টা করেছিল ১৭ জুলাই, ২০১৪-এ আলগা, করবিহীন সিগারেট বিক্রি করার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করুন; ইজেল ফোর্ড, ২৫, ইতিহাসের একজন নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ মানসিক অসুস্থতার কারণে। ১১ আগস্ট ২০১৪-এ লস এঞ্জেলেস পুলিশ অফিসারদের দ্বারা গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল; তামির রাইস, ১২ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ ছেলে, ক্লিভল্যান্ড ওহাইওতে ২২ নভেম্বর একটি পার্কে খেলনা বন্দুক নিয়ে খেলতে গিয়ে অফিসারদের দ্বারা গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, ২০১৪; ওয়াল্টার স্কট, একজন ৫০ বছর বয়সী নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি, একটি ভাঙা আলোর জন্য ট্রাফিক থামার পরে পিঠে গুলি করে মারা হয়েছিল। ৪ এপ্রিল, ২০১৫-এ দক্ষিণ ক্যারোলিনার উত্তর চার্লসটনে তার গাড়িতে; এবং ফ্রেডি গ্রে, একজন ২৫ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ মারা গেছেন। ১৯ এপ্রিল, ২০১৫-এ মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর মেরুদন্ডের আঘাত।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রাণঘাতী বল প্রয়োগ গুরুতর মানবাধিকার উদ্বেগ উত্থাপন করা হয় যার মধ্যে রয়েছে জীবনের অধিকার, ব্যক্তির নিরাপত্তার অধিকার, বৈষম্য থেকে মুক্তির অধিকার এবং আইনের সমান সুরক্ষার অধিকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই মানবাধিকারকে সম্মান, সুরক্ষা এবং পূরণ করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং রয়েছে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং এর নির্মূলের আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুমোদন করেছে। একটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে মৌলিক কর্তব্যগুলির মধ্যে একটি যা রাষ্ট্রের এজেন্ট হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ অফিসারদের অবশ্যই পালন করতে হবে। কিন্তু তা কি আদৌ করা হয়। কিংবা কেউ তা খতিয়ে দেখে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জর্জ ফ্লয়েডের কথা নিশ্চয় সবার জানা। নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) এ নিয়ে যত উচ্চবাচ্যই করুক যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন এ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবার সময়ই নেই। ওয়াশিংটন পোষ্টের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৯১৮ জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। ২০২০ সালে ১০২১, ২০১৯ সালে ৯৯৯, ২০১৮ সালে ৯৯০, ২০১৭ সালে ৯৮৪, ২০১৬ সালে ৯৫৭ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ।

এত তথ্য উপাত্ত আর মানবাধীকার লংঘনের পরেও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের মানবাধীকার নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে বিশে^র কোন দেশে কে কি করল তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এর জন্য দায়ী কি শুধু যুক্তরাষ্ট্র? নাকি দেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরাও এর ভিতরে ইন্ধন যোগায়!  ২০১১ সালে শেষবারের মত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। মুলত: এর মেয়াদ তিন বছর হলেও বর্তমান কমিটির মেয়াদ ১২ বছর হতে চলেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা বিরাজ করছে। দলীয় কার্যক্রম স্থবীর হয়ে পড়েছে। সময় মত যদি নতুন কমিটিগুলো হত তাহলে এই ১২ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৭ থেকে ১০ হাজার নতুন নেতৃত্ব তৈরি হত। নতুন কর্মীরা নব উদ্যেগে দলীয় এবং সরকারের পক্ষে জোরালো ভুমিকা রাখতে পারত। কিন্তু সেটি হয়নি। করোনার কারনে নেতা ও কর্মীদের মধ্যে দুরত্ব তৈরি হয়েছে। দলীয় কোন্দলতা হিংসা-বিদ্বেষ বেড়ে চলেছে। নিজ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্য চরত্রিহননের মাধ্যমে দলের ক্ষতি করে চলেছে। সরকার পরপর তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় থাকলে গুটিকতেক সুবিধাবাদী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়া বেশিরভাগ নেতাকর্মীই দলের পিছনে অর্থ বা শ্রম দেয়ার মত অবস্থা নেই। এর সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন নেতৃত্ব তৈরি না হবার হতাশা এবং দলীয় কোন্দলতা। আর এই সুযোগে রাষ্ট্রবিরোধী চক্র শক্তিশালী হয়ে উঠতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে।  দেশ বিরোধী রাষ্ট্রবিরোধী বিএনপি-জামাত-শিবির চক্র ছদ্দনামে অঢেল অর্থ ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনে কাজ করছে, সরকারের বিরুদ্ধে লবিষ্ট নিয়োগ করে দিনরাত যুক্তরাষ্ট্র প্রাশসনকে ইন্ধন যোগাচ্ছে। রাতের অন্ধকারে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করে সোস্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটে লাগাতার সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। নিউইয়র্ক-ভিত্তিক অর্গানাইজেশন ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস (ওপিজি) হাশ বø্যাকওয়েল স্ট্র্যাটেজিস (এইচবিএস) নিয়োগ করেছে যাতে এমন কোনো পরিবেশ তৈরি করা না হয় যেখানে জামায়াতকে বাংলাদেশের বা আন্তর্জাতিক স্তরে নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।

ক্যাসিডি এন্ড ক্যাসেডি বা ক্যাসেডি অ্যাসোসিয়েটস কথা আমরা সবাই জানি যে লবিষ্ট কোম্পানী মীর কাশেম আলীর সাথে ২৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছিল। এরকম অনেকি লবিষ্ট ফার্ম দেশবিরোধী চক্রের অর্থায়নে ক্রমাগত রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লীপ্ত রয়েছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ধীরে বিএনপি-জামাতের অনেক নেতাকর্মী জনবল অর্থবল নিয়ে এখন সামনে আসতে শুরু করেছে। এতদিন এইসব নেতাকর্মীদের আসল চেহারা উন্মোচিত না হলেও ধীরে ধীরে এদের আসল রূপ প্রকাশ হতে শুরু করেছে। আর দলীয় কোন্দলতা পছন্দ অপছন্দের কারেন এদেরকেই ইন্ধন জোগাচ্ছে সরকার দলেরই একটা সুবিধাবাদী চক্র।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া গণতন্ত্র সম্মেলন ‘সামিট ফর ডেমোক্র্যাসি’র অংশগ্রহণকারীদের আনুষ্ঠানিক তালিকায় ছিলনা বাংলাদেশের নাম। যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের সম্মেলনে বাংলাদেশকে দাওয়াত না দেয়ার এই বিষয়টিকে দেশটির ‘ভূরাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের’ প্রতিফলন হিসেবে দেখছে কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ। একইসঙ্গে ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরাতে ‘তৃতীয়পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে’ দাবিও করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে আঙ্গুল তুলে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা আরও জোরদার এবং বন্ধুদেশগুলোর কাছে সব বিষয়ে ‘সঠিক তথ্য’ তুলে ধরার পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু নেতৃবৃন্দের এই পরামর্শ সরকারের কোন নেতৃত্ব যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ^দরবারে সফলভাবে তুলে ধরবে?

সারাবিশ্ব যখন জঙ্গিবাদ আলোড়িত একটি বিষয়, সেই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা হয়েছে এবং এই জঙ্গি নির্মূলে যেই সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে সেই সংস্থাকে আঘাত করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কারপক্ষে? জঙ্গীবাদের পক্ষে? নাকি শান্তির পক্ষে? নাকি এখানে তৃতীয় কোনো শক্তি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে?  যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করার কোনো প্রয়াস আছে কি না বা তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে কি না সেটা ক্ষতিয়ে দেখবার সময় এসেছে। যে বাহিনী নারী পাচার রোধ, মাদক চোরচালানরোধসহ জঙ্গিবাদ নির্মুলে বলিষ্ট ভুমিকা পালন করেছে তাদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কেন এমন সিদ্ধান্ত। এই বিষয়ে তলিয়ে দেখা উচিত এবং যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

যুক্তরাষ্ট্র বাংরাদেশের অভ্যিন্তরীণ মানবাধিকার নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু ক্ষোদ যুক্তরাষ্ট্রেও বিরুদ্ধেই রয়েছে মানবাধিকার লংঘনের বড় অভিযোগ? যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণ-লিঙ্গ বৈষম্যও প্রকট। জনগণ লড়াই করছে। যুক্তরাষ্ট্র যখন মানবাধিকারের কথা বলে বিশ্ব এখন আর তা বিশ্বাস করে না। বিজয়ের মাসে যুক্তরাষ্ট্র কতিপয় উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশধিকবারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এটি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। সংবিধানের বিধান সমুন্নত রেখেই র‌্যাব আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে থাকে। র‌্যাব পুলিশসহ সব বাহিনীর বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড করতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশেরও যদি বাহিনীর কোনো সদস্যই বিধান ও আইনের বাইরে গিয়ে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড করে তাকে সাজা দেয়া হয়। নারায়ণগঞ্জে সাত হত্যাকান্ডের সঙ্গে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার বিচারে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হয়েছে।

ভূরাজনীতির হিসাব-নিকাশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুযায়ী বাংলাদেশ তার স্বকীয়তা থেকে সরে আসবে না এবং সব ধরনের জোটের বাইরে অবস্থান করেই তার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যে শক্তি মানতে পারেনি, সেই শক্তি এই বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর লগ্নে আমাদের আঘাত করার চেষ্টা করছে। আজকে বাংলাদেশে যে বাহিনীটি দেশের আইনশৃঙ্খলা ও জঙ্গিবাদী নির্মুলে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে তাদের আঘাত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উস্কে দেয়া হয়েছে।

গণতন্ত্রের মানসকন্যা বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে, ঠিক সেই সময়ে যুক্তারাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত দূরভিসন্ধি এবং অনেক প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। একাত্তরে যারা আমাদের বিজয়কে মেনে নিতে পারেনি, সেই শক্তি শেখ হাসিনার উন্নয়নকে মেনে নিতে পারছে না। আর এর সাথে যুক্ত হয়েছে দেশবিরোধী রাষ্ট্রবিরোধী তৃতীয় পক্ষের ষড়যন্ত্র। সরকার এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করা সম্ভব। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনই ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত দল ও সরকারের।

শিব্বীর আহমেদ
লেখক সাংবাদিক
ওয়াশিংটন ডিসি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877